অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : ইরানের একটি জ্ঞান-ভিত্তিক কোম্পানির বিশেষজ্ঞরা ফ্যাক্টর-৮ হেমোফিলিয়া রোগীদের জন্য ওষুধ তৈরির সুসংবাদ দিলো। ফ্যাক্টর-৮ ওষুধ তৈরির কারিগরী দিক আয়ত্ত্ব করার পর ওই ওষুধ বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদন শুরু করেছে কোম্পানিটি।
ইরানী এই ওষুধটির বিশেষত্ব হলো বিশ্বব্যাপী প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী সুস্থ মানুষের রক্তের প্লাজমা থেকে নমুনা বের করা হয় না। সুতরাং এর ফলে রোগের সংক্রমণ ঘটার আশঙ্কা থাকে না।
ফ্যাক্টর-৮ ওষুধটি হেমোফিলিয়া রোগীদের চিকিৎসার জন্য ব্যবহার করা হয়। হেমোফিলিয়া এক ধরনের বংশগত রোগ। এই রোগের ফলে শরীরে রক্ত জমাট বাঁধা প্রলম্বিত হয়। তাই শরীরের বিভিন্ন স্থানে অস্বাভাবিক রক্তক্ষরণ ঘটে, সহজে বন্ধ হয় না।
হেমোফিলিয়া হল একটি জেনেটিক রোগ। রক্তপাতের সময় রক্ত জমাট বাঁধার ক্ষেত্রে শরীরের ক্ষমতাকে প্রভাবিত করে এই রোগ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন ফ্যাক্টর-৮ যখন দেশে আনা হয় তখন এটা ছিল সুস্থ মানুষের রক্তের প্লাজমা থেকে তৈরি করা। এতে রোগ সংক্রমিত হবার আশঙ্কা থেকে গিয়েছিল। কিন্তু ইরানে যেটি উৎপাদন হচ্ছে সেটা শরীরে ফ্যাক্টর-৮ এর প্রাকৃতিক উত্পাদনের মতোই। তবে তা রোগীর দেহে সবচেয়ে কম প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অত্যাবশ্যকীয় ওষুধের তালিকার একটি ওষুধ হলো ফ্যাক্টর-৮। এই ওষুধটি স্বাস্থ্য ব্যবস্থার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ওষুধগুলোর অন্তর্ভুক্ত।
ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরান যেসব শিল্পে বিশাল বিনিয়োগ করেছে তার মধ্যে ফার্মাসিউটিক্যাল শিল্প অন্যতম। ইসলামী বিপ্লব বিজয়ের আগে, ইরানের ওষুধের চাহিদার শতকরা মাত্র ২০ ভাগ দেশীয় কোম্পানিগুলোর মাধ্যমে উত্পাদিত হত। বাকি শতকরা ৮০ ভাগ ওষুধই হয় আমদানি করা হতো না হয় বহুজাতিক কোম্পানিগুলোর মাধ্যমে উত্পাদিত হত। কিন্তু আজ ইরানের ওষুধের চাহিদার শতকরা ৯৯ ভাগ দেশের অভ্যন্তরেই উত্পাদিত হয়।
যেহেতু ফার্মাসিউটিক্যাল শিল্প জনগণের স্বাস্থ্যের সাথে সম্পর্কিত, সেহেতু এই ওষুধ শিল্পে যেসব দেশ অগ্রসর এবং উন্নত স্বাভাবিকভাবেই তাদের ক্ষমতা ও শক্তি বেশি। এমনকি প্রয়োজন হলে তারা এই শক্তিকে হাতিয়ার হিসেবেও ব্যবহার করতে পারে। যেমন ফার্মাসিউটিক্যাল ক্ষেত্রে কোনো কোনো দেশকে অনুমোদন দেওয়ার ব্যাপারে আমেরিকার পদক্ষেপ।
Leave a Reply